বিয়ের লোভ দেখিয়ে তার সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরি করেন।
মোঃ সাইদুল ইসলাম
বারহাট্রা উপজেলা প্রতিনিধি
এমনটি ঘটেছে বারহাট্রা উপজেলা, দেওপুর গ্রামে মোহাম্মদ সালমান মিয়া (২৩) পিতা: মোহাম্মদ বাশার মিয়া (৫৬) ঠিকানা: গ্রাম : দেওপুর।১৭/০৬/২০২৫ তারিখ আনুমানিক বিকাল ৪ ঘটিকায়, মেয়ে (১৬) বাড়ি থেকে পূর্ব পরিকল্পনায় বের হলে সালমান (২৩) (পূর্ব প্রেমের সূত্র ধরে )তাকে বিয়ের করার কথা বলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায় । ঢাকা মহাখালী এলাকায় অভিযুক্ত সালমান ভিক্টিম মেয়ে (১৬) নিয়ে ১৮/০৬/২০২৫ আনুমানিক রাত ৩ টার দিকে হাত ধরে রাস্তায় ঘুরাঘুরি করতে থাকে । ঢাকা মহাখালী অভিযুক্তকে এবং মেয়ে (১৬) স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে আটক করে এবং স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাদেরকে বাড়িতে পাঠানো হয় । কিন্তু আসার পথে অভিযুক্ত সালমান(২৩) ভিকটিম মেয়েটিকে(১৬) গাজীপুর চৌরাস্তা রাস্তার মধ্যে রেখে চুপিসারে পালিয়ে যায় । তারপর থেকে অভিযুক্ত সালমান (২৩) গা ঢাকা দেয় । ভিক্টিম (১৬) বাস ড্রাইভার এর সহায়তায় নেত্রকোনায় ফেরত আসে । অভিযুক্ত সালমানের বাড়ি পাশের গ্রামে হওয়ায় অল্প সময়ে সনাক্ত করে তার বাড়িতে অন্যাসনে যায় । তখন অভিযুক্ত সালমানের সাথে তার কথা হয় । ভিক্টিম (১৬) অভিযুক্ত সালমানকে বিয়ের জন্য বললে ঐখানকার মহিলারা তাকে মারধর করে । অভিযুক্ত সালমান গ্রাম্য সালিশে মেয়েটির সাথে ঘটে যাওয়া সব কিছু গোপন রাখতে বলে । গোপন রাখলে তাকে বিয়ে করবে বলে । আর মুখ খুললে অভিযুক্ত সালমান মেয়েটিকে (১৬) মেরে ফেলার হুমকি দেয় । তখন ভিক্টিম ভয় পেয়ে আসল তথ্য গোপন রাখে । এবং বিয়ের আশায় সালিশে বলে , (তাকে কেউ কোথাও নিয়ে যায় নি , সে তার মামার বাড়ি গিয়েছিলো ) । তখন ওই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা । গ্রাম্য সালিশ অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করেন ।
সালিশ শেষে অভিযুক্ত সালমান বিয়ে করবে না বলে অস্বীকার করে এবং ফোন বন্ধ রাখে ।মেয়েটির বাবা দরিদ্র হওয়ায় মামলা করতে পারে নি। এভাবেই শেষ হয়ে যাচ্ছে একটি বোনের জীবন ।ঘটনাটি ঘটে বারহাট্টা উপজেলার দেওপুর গ্রামে।বর্তমানে মেয়েটি মানসিক ভাবে বেঙ্গে পড়েছে ।