লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে ৩ দিন ধরে স্বামীর বাড়িতে অনশনে নববধূ।
মাসুদ রানা নিরব,
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ঘনেশ্যাম গ্রামে স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে ৩ দিন ধরে অনশনে রয়েছেন এক নববধূ।ঐ নববধূ হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ গোতামারী এলাকার বাসিন্দা অর্চনা রানী।
জানা যায় যে, ঐ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ঘনেশ্যাম গ্রামের জয় নামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল অর্চনার এবং প্রেমের সম্পর্ক কে আইনি স্বীকৃতি দিয়ে তারা গত ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে কোর্ট ম্যারেজ করে বিয়ে সম্পন্ন করেন। বিয়ের ৩ মাস পর গত ১ জুন রবিবার বিকাল ৩ টায় অর্চনা রানী নামে ঐ নববধূ নিজেই স্বামীর বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু তার আগমনের পর থেকে স্বামী জয় বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তাদের সম্পর্কের সূত্রপাত মোবাইলের মাধ্যমে হয় এবং জয় নিজে প্রেমের প্রস্তাব দেন কিন্তু অর্চনা রাজি না হলে তাকে বিভিন্ন তাল বাহানা ও নিজেকে আত্মহত্যার হুমকি দেখিয়ে প্রস্তাবে রাজি করান।গত ২ বছর ধরে সম্পর্কের পর তারা আইনি ভাবে বিয়েও করেন। কিন্তু স্বামী জয় স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না অর্চনা কে। অর্চনার দাবি সে জয় কে বিয়ে করেছেন এবং তিনি স্বামীর ঘরে থাকতে চান। তিনি বলেন,আমি এই বাড়ির বউ আইনগত ভাবেও জয় আমার স্বামী তাই স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি চাই এই দাবিতে এখানে আছি।প্রেম সম্পর্ক এবং সামাজিক স্বীকৃতির দন্দে আলোচনা চিত্র দেখা গেছে এই তরুণ তরুণীর বিয়ের ঘটনায়।এ কারণে বিষয়টি ঘিরে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত দুই মাস আগে অর্চনার বাবা জয়ের বাড়িতে গিয়ে তাদের বিয়ের আইনি কাগজ পত্র দেখান। এছাড়া তাদের সম্পর্কের মোবাইল ফোনের মেসেজ,কল রেকর্ড সহ ভিডিও কৃত তথ্যের মাধ্যমে সত্যতা পেয়েছেন জয়ের পরিবার। এরপর উভয়ের অভিভাবক মিলে আলোচনা মাধ্যমে সমাধান করতে চাইলে জয়ের পরিবার থেকে কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া না থাকায় বিষয়টি স্থগিত থাকে এবং ২ মাস পর অর্চনা রানী নিজে জয়ের বাড়িতে আসেন। কিন্তু জয়ের মা-বাবা বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও চাপ সৃষ্টি করে অর্চনা কে তাদের বাড়ি থেকে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবং গ্রামবাসীর মাধ্যমেও বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হচ্ছে নববধূ অর্চনা রানী কে। এখনো পর্যন্ত স্বামী জয়ের কোন ধরনের পাত্তাও মিলছে না।