বরগুনার তালতলীতে জীবিত অবস্থায় খাওয়ালেন জোমাত
মোঃ রুবেল মিয়া
বরগুনা জেলা প্রতিনিধি
বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলায় নয়া ভাই জোড় গ্রামে জীবিত অবস্থায় জোমাত খাওয়ালেন আশ্রাফ আলী নামে এক ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ, তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন হটাৎ করেই আমার মনের ভিতর কেমন জানি করে উঠল যে আমি জীবিত থাকতে আমার নামের যে জোমাত খাওয়ানো হয় তা আমি নিজেই করে যাবো, তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমার সকল ছেলেমেয়ে এবং আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে আমি আলোচনা করবো এবং এক পর্যায়ে তাদের আমি ডাকলাম এবং সকলের সাথে আমি আলাপ আলোচনা করলাম এক পর্যায়ে অনেকেই হটাৎ করে আমার কথা শুনে ভয় পেয়ে গেছেন, কিন্তু আমার ছেলেরা ভয় পান্নি তাদের মনোবল ঠিক ছিল এবং আমাকে তারা সাহস দিল, তাই আমি চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে এলাকার আলেম ওলামাদের সাথে পরামর্শ ক্রমে আমি কাজ চালিয়ে যাই পরবর্তীতে দিন ঠিক করে ২০০০ মানুষের জন্য দুপুরে এক বেলা খাবারের আয়োজন করি এবং আমি নিজে দেখেছি সকলেই আমার দেয়া দাওয়াত তারা গ্রহণ করেছেন এবং আমার জন্য দোয়া করেছেন, কেউ আবার আমাকে জরিয়ে দরে কেদেছেন, এটা আমি আমার নিজের চোখে দেখেছি যে আমার মৃত্যু হলে তারা তো এরকমই করতো, কিন্তু আমি দেখতে পাড়তাম না তাই আমি আমার মৃত্যুর পড়ের যে কাজ তা সমাপ্ত করে গেছি যাতে করে আমার মৃত্যুর পড় আমার ছেলেমেয়েদের টেনশন না করতে হয় এবং তাদের মধ্যে যাতে কোনো রকম বিভেদ সৃষ্টি না হয়, বৃদ্ধ আশ্রাফ আলীর বড় ছেলের কাছে জানতে চাইল তিনি জানান যে আমার আব্বা অনেক আগে থেকেই ইসলামের জন্য খেদমত করতেন তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন এমনকি আমাদেরও সবসময় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার জন্য বলতে সেই বিশ্বাস থেকে বাবা যখন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন আমরা তার সিদ্ধান্ত কে সাধুবাদ জানাই, জোমাত খেতে আসা সাধারণ মানুষের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন যে আমাদের জীবনে এ রকম জোমাত খাওয়ানো দেখিনি জীবনে এই প্রথম বার দেখলাম যে জীবিত থাকতে জোমাত খাওয়ালেন, তবে দোয়া দুরুদ, ও জোমাতে জন্য আয়োজিত খাবার দাবার খুবি ভালো হয়েছে, পরিশেষে বৃদ্ধ আশ্রাফ আলী সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন,সকলেই তার জন্য দোয়া করবেন.