বরগুনা সদর হাসপাতালে ডাক্তার অনিয়মিত রুগী দেখেন প্রাইভেট চেম্বারে
মোঃ রুবেল মিয়া
বরগুনা জেলা প্রতিনিধি
বরগুনা সদর হাসপাতালে ডাক্তার নিয়মিত রুগী দেখেনা তার তথ্য পাওয়া গিয়াছে, বরগুনা সদর হাসপাতালের অনেক ডাক্তার হাসপাতালে রুগী দেখেনা, তারা সবসময় ব্যস্ত থাকেন তাদের প্রাইভেট চেম্বার নিয়ে, তাই হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় টিকিট হাতে নিয়ে লম্বা লাইনে দাড়িয়ে আছে অনেক রুগী তাদের কাছ জানতে চাইলে তারা বলেন যে অতি সকাল থেকে এসে দাড়িয়ে আছি ডাক্তার দেখানোর জন্য কিন্তু এখন বেলা ১১ টা বেজে গেছে এখনো কোনো ডাক্তার চেম্বারে আসেনি, তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন ডাঃ ফারহানা মাফুজ ও ডাঃ সাইফুল ইসলাম নিয়মিত চেম্বারে আসেন না তারা, তার পড় দেখা গেল দুপুর ১২ নাগাদ ডাঃ ফারহানা মাফুজ তার চেম্বারে প্রবেশ করেন, এ সময়ে দেখা গেল যে লাইনে দাড়িয়ে থাকা রুগিরা তরিগরি করে ডাক্তারের রুমে ডুকতে আছে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন যে ডাক্তার দুপুর ২ টার পড় আর থাকবেন না কারন ২ টার পড় তারা রুগি দেখবেন প্রাইভেট চেম্বারে গিয়ে, আর সেখানে দেখাতে গেলে তো তাদের টাকা দিতে হবে সে টাকা তো আমাদের কাছে নাই তাই এখানে বসেই দেখাতে চাই, এছাড়াও যানা যায় যে ডাঃ মেহেদী পারভেজ ও ডাঃ আশিকুর রহমান ও ডাঃ মাহবুবুর রহমান এরা সপ্তাহে ৩ দিনের বেশি হাসপাতালে রুগী দেখেন না, কারন এরা বরগুনা শহরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রুগি দেখেন মোটা অংকের ভিজিট নিয়ে ডাঃ মেহেদী পারভেজের বিষয়ে আরো যানা যায় যে তিনি যে সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে রুগী দেখেন সেই সকল রুগীদের ও তিনি হয়রানি করেন কারন তার চেম্বারে সিরিয়াল দেওয়ার আগে বিকাশের মাধ্যমে তার ভিজিটের টাকা রুগীর আগে পরিশোধ করতে হবে তা যদি কেউ না পাড়ে তাহলে সে যত সিরিয়াস রুগি হয় না কেনো তাকে দেখেনা শিশু বিষয়ক ডাঃ মেহেদী পারভেজ, এছাড়াও তাদের সরকারি ডিউটির তোয়াক্কা না করে তারা রুগী দেখেন বিভিন্ন জেলায়, যেমন বরিশাল, বাখেরগন্জ, পটুয়াখালী, সহ অনেক জায়গায়, এ কারনে সাধারণ মানুষ এর ভুক্তভোগী তাই তারা দাবি জানিয়েছেন যে এই দরনের কাজে যে সকল ডাক্তার গন জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনের ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ হয়রানির হাত থেকে মুক্তি পায় এক পর্যায়ে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ এ কে এম নাজমুল আহসান বলেন যে সকল ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এবং যে সকল ডাক্তার অনিয়মের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে.