• কুষ্টিয়া মেডিকেল আওয়ামী লীগ পন্থী দুর্নীতিবাজ চক্রের নিয়োগ বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ জেলার সচেতন মহল

জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া।

২০২১ প্রাক্তন অধ্যক্ষ সালে ডাঃ মোঃ দেলদার হোসেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে নিয়োগের একটি সার্কুলার প্রকাশ করেন। শুরু থেকেই এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়ম, স্বজন প্রীতি এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বলেছিলেন কুষ্টিয়ার সচেতন মহল। সেই নিয়োগ সংক্রান্ত ও অনিয়ম দুর্নীতির কারণে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া এর তদন্ত হয় ৩,৪,২০২২ ইং ওই সময় তদন্ত কমিটি তদন্ত শেষে সভার সিদ্ধান্ত হয়
২৫,৫,২০২৪ ইং তারিখ নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে নতুন প্রক্রিয়ায় জনবল নিয়োগ করা ও কলেজ সভার কার্যবিবরণীতে স্পষ্টভাবে নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছিল ওই সময়। অথচ সেই রেজুলেশন গোপন রেখে, বাতিল হওয়া সারর্কুলারের আওতায় গোপনে ভাইভা পরীক্ষার আয়োজনের অপচেষ্টা চলছে, অভিযোগ তুলে বলেছেন কুষ্টিয়া জেলা সচেতন মহল। এটি আওয়ামী লীগের একদল সুবিধাভোগী ব্যক্তির ষড়যন্ত্রমূলক পুনবহালের অংশ। একটি অনুসন্ধানে রিপোর্টে কুষ্টিয়া জেলার সচেতন মহল অভিযোগ তুলে বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র অন্যতম কারিগর ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কুষ্টিয়ার স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির হোতা ডঃ মুসতানজিিদ। তিনি তার দুই ঘনিষ্ঠ লোক মোঃ মশিউর রহমান এবং মোঃ মাজহারুল ইসলাম কে বর্তমান অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ মাহাবুবুর রহমান খান কে ব্যবহার করে ২০২১ সালে বাতিল হওয়া সার্কুলারের আওতায় নিয়োগ দেওয়ার অপচেষ্টা করছেন। দ্রুত এই অনিয়ম বন্ধ করা না হলে এক পক্ষের লোকজন অবৈধভাবে সরকারি চাকরি দখল করবে বলে মনে করেন জেলা সচেতন মহল। অভিযোগে আরো উঠে এসেছে মোঃ মশিউর রহহমান ও মোঃ মাজহারুল ইসলাম উভয়েই ল্যাব এটেনডেন্ট( আউটসোসিং) পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় অধ্যক্ষের প্রভাবের মাধ্যমে অবৈধভাবে কম্পিউটার অপারেটর পদে দায়িত্ব পালন করছেন এবং নিয়োগ সংক্রান্ত গোপন নথিপএ নিজেদের দখলে রেখেছেন। মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ (সহযোগী অধ্যাপক, প্যাথলজি বিভাগ) তাদের সহযোগী হয়ে অফিসের ভল্ট রুম খুলে নিয়োগ সংক্রান্ত নথিপএে অরিয়ম করে যাচ্ছেন। এ কাজে মোঃ জামান আহমেদ(উচ্চমান সহকারী) ও সক্রিয়ভাবে জড়িত। কুষ্টিয়া জেলা সচেতন মহল ও ভুক্তভোগীরা আরো জানিয়েছেন ২০২১ সালের রিটেন পরীক্ষা সময় পপি খাতুন (লাইব্রেরিয়ান), মোঃ মশিউর রহমান এব্য মোঃ মাজহারুল মাজ ইসলামকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করতে সহযোগীতা করেন। তার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কলেজের শিক্ষক আথসানা জান্নাত(প্রভাষক,বায়োকেমিস্ট্র বিবাগ), মোঃ নাহিদুল ইসলাম (সহযোগী অধ্যাপক মাইঞোবায়োলজি বিভাগ) সহ আরও অনেকে। জেলার সচেতন মহল বলেছেন অভিযোগে এই প্রক্রিয়ায় লেনদেনও হয়েছে। পাশাপাশি পপি ৎাতুন চাকরির স্থায়ী করনে স্বার্থে নিয়োগ বাণিজ্যে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছেন এবং কলেজের প্রশাসনিক অফিসের বেবী খাতুন নামের আরও এক কর্মচারী এই চক্রের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমান অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ মাহাবুবুর রহমান খান, যিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা,তিনি কলেজের দায়িত্ব পালনের বদলে রাজশাহীতে ব্যক্তিগত ক্লিনিকে রোগী দেখেন। এই সুযোগে আওয়ামী লীগ পন্থী এই দুর্নীতিবাজ চক্র কলেজের নিয়োগ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়ম বহির্ভূত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন অভিযোগ করে বলেছেন কুষ্টিয়া জেলা সচেতন মহল ও ভুক্তভোগীরা। কুষ্টিয়া জেলার সচেতন মহল অভিযোগ করে আরও বলেছেন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ দেলদার হোসেন ও ডাঃ মোঃ মুসতানজিদ এখনো মোঃ মশিউর রহমান মোঃ মাজহারুল ইসলাম পপি খাতুন ও বেবি খাতুন কে নিয়োগ দিতে গোপনে তৎপর রয়েছে। জেলার সচেতন মন বলছেন বাতিল হওয়া সার্কুলারের নিয়োগ আবারও অনুমোদনের অপচেষ্টায় এই চক্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত আছেন প্রধান সরকারি মোহাম্মদ জামান আহমেদ, ডাঃ সিরাজুম মুনি (কার্ডিওলজি বিভাগ), ডাঃ মোঃ খসরুজ্জামান (গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগ), এবং ডাঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম (নিউরোরজি বিভাগ)। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা সচেতন মহল ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এবং জনসাধারণ সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন, এই আওয়ামী লীগ পন্থী দুর্নীতিবাজ সক্রের পূর্ণবহাল এবং নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের ষড়যন্ত্র দ্রুত বন্ধ করার। এবং মোঃ মশিউর রহমান মোঃ মাজহারুল ইসলাম,পপি খাতুন, বেবী খাতুন এবং নিয়োগ সংশ্লিষ্ট দের কার্যক্রমের তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।