1. dailybanglard@gmail.com : দৈনিক বাংলার দিগন্ত : দৈনিক বাংলার দিগন্ত
  2. info@www.dailybanglardigant.online : দৈনিক বাংলার দিগন্ত :
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "দৈনিক বাংলার দিগন্ত" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
শিরোনাম :
প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে নিহত অত্যন্ত ৩,দগ্ধ ৩০ কুষ্টিয়ায় সেতু সংস্কারের ৬৫ লক্ষ টাকার কাজ সিডিউল মোতাবেক ও সরকারি নীতিমালা মেনে শেষ করেছেন সড়ক জনপদ কুষ্টিয়া জেলা সদর উপজেলা বিএনপির তরুণ নেতা হাজী মোঃ জয়নাল আবেদিন প্রধানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেতে চাই উপজেলা বাসি ধোবাউড়ায় থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদসহ আটক ০১ ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত আত্মসমর্পণকারী কেএনএফ সদস্যদের পরিবারের পাশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লালমনিরহাটে বাড়ছে পানি, পাঁচ উপজেলায় হতে পারে বন্যা সীতাকুণ্ডে ‘রাইজঅন’ শো রুম এর শুভ উদ্বোধন সম্পন্ন বারহাট্টা চিরুনি অভিযানে পাঁচজন আটক আদিতমারীতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ; আহত ২ !

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে গরুর হাট বসাতে শ্মশান ভরাটের প্রতিবাদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিক্ষোভ সমাবেশ

দ্বীপ চন্দ্র সরকার,
ময়মনসিংহ বিভাগীয় ব্যুরো

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নে একশত পঞ্চাশ বছরের পুরোনো শ্মশানে বালু ভরাট করে গরুর হাট তৈরির কার্যক্রম চলছে। ইউএনও এরশাদুল আহমেদের নির্দেশে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়। গতকাল রবিবার(২৭এপ্রিল ২০২৫ইং) এ ঘটনায় ইউএনওর বিচার ও অপসারণের দাবিতে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পরিচালনা করেছেন স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
রবিবার দুপুরে ঘণ্টাখানেক মহাসড়ক অবরোধ করে রাখায় দু’পাশের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।পরবর্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হোসাইনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন সনাতনী বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় সনাতনী বিক্ষুব্ধ জনতা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউএনওর অপসারণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।

বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন শ্রীশ্রী করুণাময়ী কালীবাড়ি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক অলক ঘোষ ছোটন, রাজিপুর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জনি দে, ঈশ্বরগঞ্জ মহাশ্মশানের সাধারণ সম্পাদক পিন্টু চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব গৌড়, উচাখিলা ইউনিয়নের সার্বজনীন শ্মশান কালীমন্দির কমিটির সভাপতি পরেশ চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক রাজীব সাহা রাজু প্রমুখ। তাদের ভাষ্য, দেড়শ বছরের পুরোনো শ্মশানে সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের মানুষের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়ে আসছে। সেখানে তাদের বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তানদের শেষকৃত্য হয়েছে। প্রতিবছর তাদের স্মরণে এখানে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। তাদের এই স্মৃতিচিহ্ন মুছে দিতে ইউএনও যে পরিকল্পনা করেছেন, জীবন থাকতে তা কখনোই বাস্তবায়ন হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বিক্ষুব্ধ জনতা বলেন, দফা এক দাবি এক, ইউএনওর পদত্যাগ। দ্রুত সময়ের মধ্যে ইউএনওকে অপসারণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। ইতিপূর্বে গত শনিবার (২৬এপ্রিল ২০২৫) বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, উচাখিলা ইউনিয়নের বাজারের পাশেই কাঁচামাটিয়া নদী। নদীপাড় ঘেঁষে শ্মশানের অবস্থান। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের ফেলা বালুর নিচে চাপা পড়ে গেছে শ্মশানের নির্মাণাধীন কালীমন্দির। শ্মশানের দাহকার্য সম্পন্ন করার স্থানটির পাশের পিলারও ভেঙে ফেলা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার এই শ্মশানে শেষবারের মতো একজনের দাহকার্য সম্পন্ন হয়। চুল্লির পাশে মাটির কলসে সেই চিহ্ন পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৬ শতক জমি প্রায় দেড়শ বছর আগে শ্মশানের নামে দান করেন একজন। এর পর ১৯৪৭ সালের সিএস এবং ১৯৬২ সালের আরওআর শ্মশানের নামেই করস হয়। তবে ১৯৮৪-৮৫ সালের বিআরএসে শ্মশানের নাম না এসে সেটি সরকারের ১ নম্বর খাস খতিয়ানে উঠে যায়। ওই অবস্থায়ও শ্মশানে দাহকার্য হতো।এক পর্যায়ে চারপাশের বিভিন্ন অংশ দখল হয়ে যায়। এর পর গত বছরের নভেম্বরে সাবেক ইউএনও সারমিনা সাত্তার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হোসাইনসহ সেটি উদ্ধার করে শ্মশান কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেন। এর পর শ্মশানের নিজস্ব অর্থায়নে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে সীমানা প্রাচীরের নির্মাণকাজ শুরু হয়, যা চলমান। এ অবস্থায় দেড়শ বছরের পুরোনো শ্মশানে গরুর হাট বসানোর জন্য বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। উচাখিলা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল আবেদীন খান সেলিম বলেন, ‘শ্মশানটি পুরোনো। আমি চাই শ্মশানের জায়গায় শ্মশান থাকুক। সেটি উচ্ছেদ না হোক। গরুর হাটের জায়গায় গরুর হাট থাকুক। ইতোমধ্যে গরুর হাটের জন্য অনেকটা খাসজমি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও উদ্ধার করা হোক। তবুও শ্মশান স্থানান্তর না হোক। এদিকে মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ওসি ওবায়দুর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হোসাইন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জানান, শ্মশানের বিষয়টি নিয়ে শনিবার রাতেই ইউএনও শ্মশান-সংশ্লিষ্টসহ স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে আসেন। ওই আলোচনায় রবিবার যারা মানববন্ধন, বিক্ষোভ করছেন তারা ছিলেন না। সেটাই তাদের আক্ষেপ। কারণ তাদের ছাড়াই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের আশ্বস্ত করে বলেছি, আপনারা একটা তারিখ এবং তালিকা দেন। আপনাদের সঙ্গেও বসা হবে। এর পর আপনারা যে সিদ্ধান্ত দেন, সেটাই মানা হবে।’এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও এরশাদুল আহমেদ বলেন, শ্মশানের কোনো কিছুতেই হাত দেওয়া হয়নি। এটা নিয়ে এক ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। উচাখিলা বাজারের গরুর হাটের ইজারা হচ্ছিল না। সরকারের রাজস্ব আয়ের স্বার্থে উদ্ধারকৃত (শ্মশানের পাশেই) সরকারি খাসজমি বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। বালু ভরাটের সময় নির্মাণাধীন মন্দিরের ৩টি পিলার ভেঙে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার রাতেই শ্মশান-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।আপাতত কাজ বন্ধ রেখে সোমবার (আজ) পরিদর্শন করে শ্মশান, মন্দির, স্নানঘর অক্ষত রেখে একটি স্থায়ী উদ্যোগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরও একটি পক্ষ ভুল বোঝাবুঝির মাধ্যমে বিক্ষোভ করেছে। তাদের সঙ্গেও আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হবে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট