খোকসা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কি এখন আওয়ামী পুনর্বাসন বোর্ডের চেয়ারম্যান মন্তব্য করেছেন কুষ্টিয়ার জনসাধারণ
সুমন শেখ
স্টাফ রিপোর্টার কুষ্টিয়া ।
কুষ্টিয়া জেলার সচেতন মহল এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ত্যাগী নেতা কর্মীরা অভিযোগ তুলে বলেছেন। আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনে আলাউদ্দিন খানের মিশন বিএনপির আদর্শ আজ কোথায়।
দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলার এক সময়কার জাসদ নেতা আলাউদ্দিন খান, যিনি ছিলেন স্বল্পজনপ্রিয় ও নিজস্ব জনভিত্তিহীন তাকে বিএনপিতে এনেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সফল সভাপতি, বারবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি। কিন্তু আজ, সেই আলাউদ্দিন খানই সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমির বিরোধিতায় অগ্রভাগে, এবং আশ্চর্যজনক হলেও সত্য তিনি যেন হয়ে উঠেছেন আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের প্রধান কারিগর। কুষ্টিয়া জেলা খোকসা কুমারখালী উপজেলার জনসাধারণ ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন এটি আর রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয় এটি বিদ্বেষের অপচেষ্টা। আলাউদ্দিন খান এমন এক পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছেন, যেখানে দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষিত। ইউনিয়ন ও থানাভিত্তিক কমিটিতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে আওয়ামীপন্থী ও অতীতে বিএনপির বিরোধিতাকারী ব্যক্তিদের, প্রকৃত নেতারা আজ কোণঠাসা আর আওয়ামী দোসররা নেতৃত্বে। খোকসা কুমারখালী উপজেলা ত্যাগী নেতাকর্মীরা বলেছেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখা ইউনিয়ন বিএনপি'র বাস্তব উদাহরণ। খোকসা কুমারখালী উপজেলার ত্যাগী নেতাকর্মীরা আরো জানিয়েছে, গোপগ্রাম ইউনিয়ন শিবলি চেয়ারম্যান, একজন ঘোষিত আওয়ামী লীগার, যিনি গত নির্বাচনে আওয়ামী প্রার্থীকে জয়ী করতে কাজ করেছেন আজ বিএনপির সার্চ কমিটিতে! সিদ্দিক, জিয়া মেম্বর, বদর, কালাম সকলেই আওয়ামী ঘরানার, অথচ আজ বিএনপি কমিটিতে অগ্রাধিকার প্রাপ্ত। জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়ন টিপু চেয়ারম্যান, এমপি জর্জ এর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি, এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে আজ তিনি অলিখিত বিএনপি নেতা। তার ভাই ও ভাগ্নে এখন উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। এছাড়াও আয়ুব বিশ্বাস, শুভ খান, মাসুদ খান যারা ১৭ বছর ধরে আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয়, আজ তারা বিএনপির নেতা। আমবাড়ীয়া ইউনিয়ন মোতালেব মাস্টার এক দশক ধরে আওয়ামী রাজনীতিতে থাকা ব্যক্তি, এখন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। অপরিচিত ‘ভূবন’ নামের এক তরুণ ও ‘অচেনা’ আব্দুস সালাম নামক এক ব্যক্তি আপনার আহবায়ক কমিটির সদস্য। শরিফ জামাল, সাবু, রফিক মাস্টারসহ আরও কয়েকজন আওয়ামী ঘরানার লোককে নিয়েও কমিটি গঠনের পাঁয়তারা করছেন। ওসমানপুর ইউনিয়ন তুফা মেম্বর, রকি বিশ্বাস, হায়দার মেম্বর, লিটন—সকলেই পরিচিত আওয়ামী লীগ নেতা। এখন বিএনপি ব্যানারে নেতৃত্বে! যার ফলে ওসমানপুর ইউনিয়নে দখল, হুমকি, উত্তেজনা বাড়ছে।একতারপুর ইউনিয়ন আসবার আলী ফয়েজ, শহিদুল ইসলাম, টিপু সুলতান, সুবোধ বিশ্বাস এরা সবাই পূর্ব আওয়ামী ঘরানার, এখন বিএনপির কমিটিতে ঠাঁই পাচ্ছে আপনার মাধ্যমে বলেছেন ত্যাগী নেতাকর্মীরা। বেতবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ আবুল কালাম কালু (দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি) আজ উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি। আলাউদ্দিন আলাই একজন পরিক্ষিত আওয়ামীলীগার, সে এখন ডান/বামে বসেন। মিন্টু খা, লাহোরী খার মতো আওয়ামী দোসরদের নিয়ে কমিটি গঠনের চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছেন অভিযোগ করে বলেছেন উপজেলা বিএনপিতে ত্যাগী নেতা কর্মীরা। শিমুলিয়া ইউনিয়ন, জাফর ইকবাল, মুজাহিদ, কাশেম, আনছার আলী মেম্বর, শাহাদত হোসেন সদাই যারা অতীতে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, আজ আলাউদ্দিন খানের নেতৃত্বে বিএনপির ব্যানারে পুনর্বাসিত।
খোকসা ইউনিয়ন, সিহাব মৃধা, আঃ খালেক, রাজ্জাক মেম্বর, ইদ্রিস আলী, রুহুল, এনামুল, মন্টু, আজিম, জমিম—সকলেই বিএনপির দুঃসময়ে অচেনা আওয়ামী ফ্যাসিস কিন্তু আজ কমিটিতে আসার পায়তারা করছে আপনার প্রশ্রয়ে বলেছেন উপজেলার ত্যাগী রাজপথের লড়াকু নেতাকর্মীরা। শোসমপুর ইউনিয়ন, ফজলুল হক আওয়ামী ঘরানার নেতা, এখন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক।
জামালউদ্দিন পুরোদস্তুর আওয়ামী লীগার, আজ বিএনপি কর্মী। খোকসা পৌরসভা, শামীম আহমেদ বাবু আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা, তাকে বানানো হয়েছে পৌর দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের কমিশনার। পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়াই একটি প্রহসনে রূপ নিয়েছে, যার মাধ্যমে বিএনপির ব্যানারে তৈরি হয়েছে ‘আওয়ামী বিএনপি’। কুষ্টিয়া জেলা খোকসা কুমারখালী উপজেলার ত্যাগী নেতা কর্মীরা ও জনসাধারণ কিছু জরুরি অভিযোগ তুলে বলেছেন।
সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি, যিনি এক সময় হাত ধরে বিএনপি সংগঠনে নিয়ে এনেছিলেন, আজ তার বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র কেন। দলের ত্যাগী নেতারা আজ কোথায় তাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী দোসরদের পদায়ন কি বিএনপির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা নয়। পুনর্গঠন’-এর নামে আওয়ামীকরণ এতে কি বিএনপি আরও দুর্বল হচ্ছে না। বিএনপির পদ আজ কি টাকার ও ক্ষমতার খেলায় পরিণত হয়েছে। যারা আওয়ামী আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে বিএনপিতে ঢুকেছে, তারা কি দুঃসময়ে দলের পাশে থাকবে। কুষ্টিয়া জেলার খোকসা কুমারখালী উপজেলার ত্যাগী নেতা কর্মীরা আরো বলেছেন, বাস্তবতা আজ খোকসার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় বিএনপির ব্যানারে অবস্থানরত অধিকাংশ ব্যক্তি পূর্বে ছিলেন আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয়। তাদের নেই আন্দোলনের ইতিহাস, নেই মামলা-নির্যাতনের বাস্তবতা তবে আছে অর্থ, ক্ষমতা ও প্রভাব। আর এই শক্তির জোরেই তারা আজ বিএনপির নেতৃত্বে আসীন। আলাউদ্দিন খান যেন একটি ‘পুনর্বাসন বোর্ড’ চালাচ্ছেন যেখানে আওয়ামী দোসরদের কমিটিতে বসানোর জন্য তিনি নিজে দায়িত্বপ্রাপ্ত, অথচ জেলার কোনো নেতার পরামর্শ মানছেন না, কোনো কমিটির নির্দেশ পালন করছেন না। খোকসা কুমারখালী উপজেলার ত্যাগী নেতা কর্মীরা বলেছেন আমরা যারা দলের প্রতি একনিষ্ঠ, যারা বিএনপির মূল আদর্শে বিশ্বাসী তাদের প্রশ্ন একটাই। বিএনপি কি আজ আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন কেন্দ্র হয়ে উঠছে।