কালীগঞ্জের বাহাদুরশাদীতে শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও চারাগাছ বিতরণ
মাহফুজুর রহমান (জাবেদ),
ঢাকা বিভাগীয় বুরো,
বাহাদুরশাদী ইউনিয়ন বিএনপি'র আয়োজনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে দোয়া, আলোচনা সভা এবং চারা গাছ বিতরণ করা হয়। বাহাদুরশাদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদিন শেখ এর সভাপতিত্বে এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সস্পাদক শওকত আলী মেম্বার ও কালীগঞ্জ থানা যুবদলের সদস্য সচিব হাসানুর রহমান জুয়েল এর যৌথ সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে জনসাধারণের মাঝে বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ বিতরণ করেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, গাজীপুর জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি, গাজীপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও গাজীপুর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আলহাজ্ব একে এম ফজলুল হক মিলন।
শনিবার (২৮ জুন) বিকেল ৪ ঘঠিকার সময় উপজেলার বাহাদুরশাদী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে উপজেলার বাহাদুরশাদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের শহীদ ফকির সামসুউদ্দিন শ্ররমি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশাল আলোচনা সভা ও জনসাধারণের মধ্য চারা গাছ বিতরণের আয়োজন করা হয়। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য খাইরুল আহসান মিন্টু, ,উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির মাষ্টার, সদস্য সচিব খালেকুজ্জামান (বাবলু), প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেনউপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ সোলেমান আলম। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কালীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কালীগঞ্জ সরকারি শ্রমিক কলেজ এর সাবেক ভিপি নায়েবুর রহমান মাসুদ, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মেন্তাজ উদ্দিন মাষ্টার। উপস্তিত ছিলেন কালীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব ইব্রাহিম প্রধান, কালীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কালীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. লুৎফুর রহমান, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সেরাজিস সালেকিন( লিমন)।
প্রধান অতিথির বক্তব্য একে এম ফজলুল হক মিলন বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ছিলেন এক জন নন্দিত রাষ্ট্রনায়ক। তিনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বীরত্ব পুরস্কার ‘বীর উত্তম’-এ ভূষিত হন। জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি গঠন করেন। ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ৩০০টি আসনের মধ্যে ২০৭টি আসনে জয়লাভ করে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে এক দল বিপথগামী সেনাসদস্যদের গুলিতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে শাহাদাত বরণ করেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর অনেকেই মনে করেছিল, বিএনপি জাতীয়তাবাদী দল মাটির সাথে মুখ থুবড়ে মিশিয়ে যাবে, অন্ধকারে ডুবে যাবে। কিন্তু ধসে যায়নি। তাঁর অনুপস্থিতিতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দায়িত্ব নিয়েছেন। আপসহীনভাবে স্বৈরাচারী সরকারকে হটানোর জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এ রকম নেত্রী বাংলাদেশে আর কেউ নেই। এখন জাতির ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন তাদেরই সুযোগ্য সন্তান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে। 'সবার আগে প্রিয় বাংলাদেশ’ শ্লোগান ধরে
তিনি এরই মধ্যে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিহার্য। দেশের পরিবেশ রক্ষা ও সবুজায়ন ৩১ দফার মধ্যে অন্যতম একটি। তাই দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় জনসাধারণের মাঝে বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ বিতরণ করা হয়। এ সময় কালীগঞ্জ উপজেলা, পৌর, বাহাদুরশাদী ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।