পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রকাশ্য ষড়যন্ত্রে সুপ্রদীপ চাকমা
এলেক্স বড়ুয়া
বান্দরবান প্রতিনিধি
পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রকাশ্য ষড়যন্ত্রে সুপ্রদীপ চাকমা: জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস।
বাংলাদেশের জাতীয় অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব যখন বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখে, তখন একদল সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি দেশের অভ্যন্তরে বসেই ভারতের স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সুপ্রদীপ চাকমা নামের একজন বিতর্কিত ব্যক্তি—যিনি একাধারে ভারতের এজেন্ট, জাতীয় গাদ্দার এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর দোসর হিসেবে পরিচিত।সুপ্রদীপ চাকমা দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের উপদেষ্টার চেয়ারে থেকে গোপনে অনেক ষড়যন্ত্র চালিয়ে গেলেও সম্প্রতি তার কর্মকাণ্ড আর অন্তরালে নেই। এখন তিনি সরকারি অফিসিয়াল সভায় বসে প্রকাশ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের মূল ভুখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন এবং নীতিনির্ধারণী স্তরে থেকেও সেই দেশদ্রোহী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের তৎপরতায় ব্যস্ত। এর মাধ্যমে তিনি শুধু বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করছেন না, বরং সরাসরি রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে ভারতের উপনিবেশিক স্বার্থ রক্ষায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।জনগণের প্রশ্ন—এই ইন্টেরিম সরকারের চোখে কি এসব ষড়যন্ত্র ধরা পড়ছে না? এতো গুরুতর রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ডের পরেও কীভাবে সুপ্রদীপ চাকমা এখনো কোনো উপদেষ্টা পরিষদে বহাল থাকতে পারেন? রাষ্ট্রযন্ত্র কি এতটাই নির্বিকার যে, একজন উগ্র বিচ্ছিন্নতাবাদীকে স্বাধীন দেশের প্রশাসনিক কাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসিয়ে রাখা হয়?সুপ্রদীপ চাকমার ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, তিনি বরাবরই ভারতের স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে দুর্বল করার কাজে নিয়োজিত। তার নেপথ্য ভূমিকা রয়েছে একাধিক সহিংস ঘটনার পেছনে। তার ছত্রছায়ায় পার্বত্য অঞ্চলে বাংলাদেশবিরোধী শক্তিগুলো সক্রিয় থেকেছে বছরের পর বছর। শান্তিচুক্তি বা আত্মনিয়ন্ত্রণের নাম করে তিনি আসলে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হয়ে বাংলাদেশবিরোধী রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরির খেলায় লিপ্ত। বিশেষ করে প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে “আদিবাসী অধিকারের” আড়ালে বাংলাদেশে “স্বাধীন জুম্মল্যান্ড” গঠনের প্রোপাগান্ডাকে এগিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টায় দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় রয়েছেন তিনি।
তার নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীগুলো বিদেশি অনুদান, এনজিও, এবং বহুজাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পথে ক্রমশ অগ্রসর হচ্ছে। এমনকি জাতিসংঘের নির্দিষ্ট কিছু অঙ্গসংগঠনের মধ্যেও নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে তারা আন্তর্জাতিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের “আদিবাসী রাষ্ট্র” বানানোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের ভেতর কিছু সুবিধাবাদী সুশীল সমাজ, কিছু এনজিওকর্মী এবং বিদেশি মদদপুষ্ট বাম ঘরানার রাজনীতিবিদরা নেপথ্যে থেকে সুপ্রদীপ চাকমাকে সক্রিয় সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।এমন প্রেক্ষাপটে দেশের সাধারণ জনগণ, বিশেষ করে দেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী সচেতন নাগরিক সমাজ আজ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। প্রশ্ন উঠছে—কেন এখনও রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সুপ্রদীপ চাকমার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে না? কেন তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অপরাধে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না?এই মুহূর্তে সময় এসেছে শক্ত অবস্থান নেওয়ার। যদি রাষ্ট্র নিজে এ ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে রাজপথই হবে প্রতিরোধের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। জনগণ হুশিয়ার করছে—রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কেউ পার পাবে না। যদি আমাদের রাজপথে নামতে বাধ্য করা হয়, তাহলে যারা ষড়যন্ত্রের ছায়াতলে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে বসে আছেন, তাদের অনেকেই লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হবেন।পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ—এটি কোনো আলোচনার বিষয় নয়। এ নিয়ে কোনো রাজনীতি, আপস বা দ্বিধার অবকাশ নেই। রাষ্ট্রের দায়িত্ব এখনই কঠোর অবস্থানে গিয়ে সুপ্রদীপ চাকমা এবং তার মতো গাদ্দারদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা রুজু করা, তাদের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে অপসারণ করা এবং বিচারের মুখোমুখি করা। নয়তো রাষ্ট্রকে জবাবদিহি করতে হবে এই জাতির কাছে—কেন একজন প্রকাশ্য দেশবিরোধী এখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ছায়ায় নিরাপদ থাকছে?জাতীয় স্বার্থে এখনই সময় সোচ্চার হওয়ার। ক্ষমতা যারই থাকুক, দেশ কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। তাই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজন রাজনীতিমুক্ত, শক্তিশালী ও জাতীয়তাবাদী পদক্ষেপ—তবেই নিরাপদ থাকবে বাংলাদেশ, নিরাপদ থাকবে পার্বত্য চট্টগ্রাম।