ময়মনসিংহের জেলা নির্বাচন অফিস কার্যালয়ে নানা রকম অনিয়ম, দুর্নীতির
রাজন কিবরিয়া ইব্রাহীম
ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের জেলা নির্বাচন অফিস কার্যালয়ে নানা রকম অনিয়ম, দুর্নীতির ও, হয়রানি অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ সময় দুদক কর্মকর্তাদের কাছে হয়রানির অভিযোগ তুলে ধরেন নির্বাচন অফিসে উপস্থিত সেবাপ্রার্থীরা।গতকাল সোমবার (২৩ জুন) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ কাচারিঘাট জেলার সিনিয়র নির্বাচনি কর্মকর্তার কার্যালয়ে সকাল থেকে বিকাল পযন্ত চলে এই অভিযান।
উক্ত অভিযানে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট দুদক টিমের নেতৃত্ব দেন দুদুকে ময়মনসিংহ সমন্বিত বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বুলু মিয়া। অভিযানকালে ময়মনসিংহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কক্ষে দুদকের সামনে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন নির্বাচন অফিসে উপস্থিত সেবা প্রার্থীরা। এ নিয়ে দুদক কর্মকর্তাদের সামনেই সেবা প্রার্থীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এসময় দুদুক কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম কাছে জানতে চান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক টিম।
এ সময় রুবেল নামে এক ব্যাক্তি দুদুক কর্মকর্তা কাছে বলেন সে তার ভোটার আইডি স্থান পরিবর্তন করা জন্য এসে বেশ কিছু দিন যাব নির্বাচন অফিসে এসে সেবা পাচ্ছে না। মো. সানি নামে এক সেবাপ্রার্থী বলেন, আমার বড় ভাই ভোটার হবেন তাই সব কাগজপত্র জমা দেওয়া। আজ সকাল ১০টায় নির্বাচন অফিসে আসার কথা ছিল কিন্তু ঢাকা থেকে আসতে এক ঘণ্টা দেরি হওয়ায় তারা শুনানি না করেই আবার নতুন করে তারিখ দিয়েছে। এই ভোগান্তি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
আরো একজন বক্তব্যকে লাবনী আক্তার বীথী নামে আরেক সেবাপ্রার্থী বলেন, আমার নানীর ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করার জন্য ছয় মাস ধরে ঘুরছি। কিন্তু তারিখ অনুযায়ী নির্বাচন অফিসে আসলে তথ্য ঘাটতি রয়েছে বলে বার বার নতুন তারিখ দেয়। সেই অনুযায়ী কাগজপত্র জমা দিলেও সংশোধন হবে কি না তা সঠিক ভাবে তারা বলছে না। আমি নিজেও আমার নানীর ভোটার আইডি কাট পাবো কিনা বুঝতে পারছি না।
একই ধরনের অভিযোগ করেন নির্বাচন অফিসে সেবা নিতে আসা উপস্থিত আরও অনেকেরই। তারা জানান, এই অফিসের বড় কর্মকর্তার ব্যবহার খুব খারাপ। কোনো কথা বুঝিয়ে না বলেই কাগজ পত্র ছুড়ে ফেলে দেন। সেবা সেবা কর্মকর্তাদের কাছে কিছু জানতে চাইলে তারা ভালভাবে কিছু না বুঝিয়ে বলে প্রায় সময়ই নির্বাচনী অফিসে কর্মকর্তারা অশ্লীল বাসায় গালি গালাজ করেন। একজন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়।
তবে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা সব সময় চেষ্টা করি শতভাগ সেবা নিশ্চিতের জন্য ও সেবা নিতে আসা সেবা প্রার্থী সাথে ভাল ব্যাবহার করা জন্য। তারপরেও যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে সেটা আমার অজান্তে। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে দুদকের সমন্বিত বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বুলু মিয়া বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। সরকারি দপ্তরে এসে মানুষের এত হয়রানি কোনোভাবেই কাম্য নয়। সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগগুলো আমরা কমিশনে পাঠাব। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।