1. dailybanglard@gmail.com : দৈনিক বাংলার দিগন্ত : দৈনিক বাংলার দিগন্ত
  2. info@www.dailybanglardigant.online : দৈনিক বাংলার দিগন্ত :
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "দৈনিক বাংলার দিগন্ত" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
শিরোনাম :
প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে নিহত অত্যন্ত ৩,দগ্ধ ৩০ কুষ্টিয়ায় সেতু সংস্কারের ৬৫ লক্ষ টাকার কাজ সিডিউল মোতাবেক ও সরকারি নীতিমালা মেনে শেষ করেছেন সড়ক জনপদ কুষ্টিয়া জেলা সদর উপজেলা বিএনপির তরুণ নেতা হাজী মোঃ জয়নাল আবেদিন প্রধানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেতে চাই উপজেলা বাসি ধোবাউড়ায় থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদসহ আটক ০১ ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত আত্মসমর্পণকারী কেএনএফ সদস্যদের পরিবারের পাশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লালমনিরহাটে বাড়ছে পানি, পাঁচ উপজেলায় হতে পারে বন্যা সীতাকুণ্ডে ‘রাইজঅন’ শো রুম এর শুভ উদ্বোধন সম্পন্ন বারহাট্টা চিরুনি অভিযানে পাঁচজন আটক আদিতমারীতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ; আহত ২ !

শিরোনাম: নিঃশব্দ অভ্যুত্থান, চেতনার ধ্বনি হয়ে ওঠা এক অনুচ্চারিত বাস্তবতা

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

শিরোনাম: নিঃশব্দ অভ্যুত্থান, চেতনার ধ্বনি হয়ে ওঠা এক অনুচ্চারিত বাস্তবতা

গল্প: অদৃশ্য আঙুলের নির্দেশে

লেখা: সুমাইয়া তানজিম বিনতে মাসুদ

পৃথিবী গোল। কিন্তু তার রাজনীতি, চক্রবদ্ধ নয়, বরং সরলরেখায় ছুটে চলা এক বুলেটের মতো, যেটা চালায় অদৃশ্য এক আঙুল। আমরা যারা পথচারী, তারা সেই গুলির শব্দ শুনে কখনো সরে দাঁড়াই, কখনো প্রাণ হারাই, কিন্তু গুলিটা কে ছুঁড়লো, সেটা জানতেই পারি না।

তুমি যখন রাতের বেলায় বারান্দায় দাঁড়িয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত শিশুদের ছবি দেখো, তখন এক মার্কিন সেনেটর একটা বিল পাশ করায়, মিডল ইস্টে নতুন করে অস্ত্র রফতানির। তুমি যখন প্রার্থনায় হাত তোলো ফিলিস্তিনের জন্য, তখন ঠিক সেই মুহূর্তে ইউরোপের কোনও এক রাষ্ট্রদূত হাই-প্রোফাইল ডিনারে চুক্তি স্বাক্ষর করে ইসরায়েলি ড্রোন কোম্পানির সঙ্গে।

এই হলো পৃথিবীর চলচিত্র। যেখানে মানুষের রক্ত নিয়ে খেলা হয় সিল্ক টাই পরে, গোলমাল হয় গণতন্ত্রের নামে, আর পরাজিত হয় তারাই যারা সত্য বলে।

একটি শিশু জন্ম নেয় গাজায়। তার নাম রাখা হয় আহমদ। জন্মের প্রথম রাতেই বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে আকাশ। তার মা বুকের দুধ দিতে দিতে চোখে জল নিয়ে দেখে, ছাদের এক কোণে জ্বলছে আগুনের রেখা। আহমদ তখনও জানে না, তার জন্মের দায় শুধু তার মায়ের নয়, এই পুরো সভ্যতার, যারা কেবল তেল আর কূটনীতির কার্টেলে চোখ বুঁজে বসে আছে।

তাঁর চেয়ে হাজার মাইল দূরে, এক কনফারেন্স রুমে বসে চার-পাঁচটা দেশের মন্ত্রী হাসছেন। তাঁদের হাসির মাঝে কোনও দয়া নেই, আছে কৌশল, কোন দেশকে আর কতটুকু সংকটে রাখা যাবে, কীভাবে একটা জাতিকে অস্ত্র কিনতে বাধ্য করা যাবে। তাঁদের আলোচনায় ফিলিস্তিন নেই, আছে জিও-পলিটিকাল ভারসাম্য।

আমরা যখন ঈদ করি, গরীবরা যখন কোরবানির হাড্ডি সংগ্রহ করে ঝোল রান্না করে খায়, তখন AFRICOM, NATO আর MI6 বসে বসে যুদ্ধ-পরবর্তী অর্থনীতি নিয়ে গেমপ্ল্যান করে। আফ্রিকায় হীরার খনি নিয়ে বিবাদ শুরু হয়, এবং মুহূর্তেই জাতিগত দাঙ্গা নামে। মিডিয়াতে শিরোনাম হয়: দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে ২৭ জন নিহত।

কিন্তু কেউ বলে না, এই দুই গোষ্ঠীকে অস্ত্র জুগিয়েছে কে?
কে পাঠিয়েছে দাঙ্গাবাজদের?
কারা রপ্তানি করেছে ঘৃণা?

এখনকার যুদ্ধ গোলা-বারুদের নয়, তথ্যের।
তুমি যখন স্ক্রিনে স্ক্রল করো, এক নিউজ দেখে হাহুতাশ করো, ঠিক তখনই AI প্রযুক্তির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়ে যায়, কোন নিউজ ভাইরাল হবে, আর কোনটা চিরতরে মুছে যাবে। এক মুসলিম নারীর উপর অত্যাচার হলে তার নিউজ ৩ ঘণ্টার বেশি থাকে না। কিন্তু যদি সে অন্য ধর্মের হয়, তবে হ্যাশট্যাগ ছড়ায়, রাষ্ট্র নড়ে ওঠে, মানবতা জেগে উঠে, সিলেক্টিভ হিউম্যানিটি।

বহু বছর আগে, এক লোক জন্ম নিয়েছিলো ময়মনসিংহে, নাম ছিলো মুঈনুদ্দীন। সে বিসিএস ক্যাডার হয়েছিল, ভালো চাকরি পেতো। কিন্তু সে চাকরি নেয়নি, বলেছিলো, এ সমাজ তো সত্য বলে না, আমি তাহলে কিসের চাকরি করব? সে আল্লাহর রাস্তায় বেরিয়ে গিয়েছিলো, রাস্তায় কাদায় হেঁটেছে, ক্ষুধার্ত থেকেছে, কিন্তু নিজের আত্মা বিক্রি করেনি।

মুঈনুদ্দীনের মতো মানুষরা এখন দুর্লভ। এখন সবাই স্বপ্ন দেখে বিলাসী হোটেলের, বড় চাকরির, বিদেশ সফরের, আর এদিকে পৃথিবীর বুকে বাড়তে থাকে শোষণ, অনাচার, আত্মা-হীন উন্নয়ন।

আরবে বসন্ত এসেছিলো, মানুষ ভেবেছিলো এবার পরিবর্তন হবে। কিন্তু সে বসন্ত গ্রীষ্মে পরিণত হলো, তারপর গ্রীষ্ম গনগনে নরকে। লিবিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া, তাদের সবটাই পুড়ে ছাই, আর সেই ছাইয়ের উপর তৈরি হলো নতুন সামরিক ঘাঁটি।

একজন গাদ্দাফি মরলো, কিন্তু তার দেশ মরলো আরও বহুবার।একজন বাসার আল-আসাদ টিকে থাকলো, কিন্তু সিরিয়া ছিন্নভিন্ন হয়ে গেলো।ইরাকের রক্তে ভিজলো ইউরেনিয়ামের কালো চুক্তি, আফগানিস্তানের পাহাড়ে গুম হয়ে গেলো শিশুরা।

পৃথিবী জুড়ে বসে আছে এক দল মানুষ, তাদের হাতে দেশ নেই, কিন্তু সব দেশের নিয়ন্ত্রণ আছে।তারা ইলুমিনাতি, ফ্রিমাসন, বা অন্য যে কোনো নামে পরিচিত, তাদের মূল পরিচয় একটাই: তারা ছায়ার শাসক।তাদের সভা হয় শিকাগোর নিভৃত ভিলা, বা সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ি রিসোর্টে। সেখানে ঠিক হয়, এ বছর কে যুদ্ধ করবে, কারা মরবে, কোন দেশে সরকার বদলাবে, আর কোন দেশে নির্বাচন হবে না।

তবুও, প্রতিরোধ বেঁচে থাকে।

একজন মা যখন তার ছেলেকে জিহাদের কথা শেখায়, একজন ছাত্র যখন বইয়ের পাতায় সত্য খোঁজে, একজন কবি যখন মিথ্যার মুখে দাঁড়িয়ে লিখে ফেলে রক্তাক্ত সত্য, তখন সেই ছায়ার শাসনের ভিত একটু কেঁপে ওঠে।

একদিন সেই ভিত ধসে পড়বে।একদিন সেই ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ খসে পড়বে।কারণ, চক্রান্ত চিরকাল বাঁচে না।সত্য, তা দেরিতে আসলেও, ধ্বংস করে সব মিথ্যার সাম্রাজ্য।

উপসংহার:
এই পৃথিবীর রাজনীতি একটি রক্তমাখা পর্দা। আমরা যদি সত্য না দেখি, তবে আমাদের চোখ দিয়ে একদিন রক্ত ঝরবে। এই গল্প শেষ নয়।এই গল্প চলবে, যতোদিন না সত্য বলার মানুষরা কলম ফেলে দেয় না।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট