কবিতাঃ বাবার কলিজায় শত ক্ষতের দাগ
কবি/লেখকঃ শামীম হাচান
"""""""""""""""""""'''"""""""""
আমি বাবাকে দেখেছি বহুবার
নিরিবিলি বসে থাকতে,
দেখেছি একা একা হাটতে আর
বির বির করে কথা বলতে।
আমি দেখেছি অনেক সময় গম্ভীর হয়ে থাকতে।
কিন্তু কখনো দেখিনি নয়ন জলে ভিজতে,
কখনো দেখিনি চিৎকার করে কাঁদতে।
তবে আমি দেখেছি কষ্ট গুলোকে
চেপে রেখে হাঁসতে,
আমি দেখেছি দুঃখ গুলোকে
লুকিয়ে রেখে স্বাভাবিক থাকতে।
আমি দেখিনি বাবাকে দুখের সাগরে ভাসতে,
আমি দেখেছি তাকে মহা আনন্দে হাঁসতে ।
তবে কি বাবার মনে কোন দুঃখ নেই ?
নেই তার জীবনে কোন কষ্টের কালো ছায়া,
নেই কোন হতাসা নেই কোন ব্যর্থতা
শুধু সুখ আর সুখ।
কোথায় পেলো এত সুখ বাবা-
প্রশ্ন থেকে যায় মনে ,
যদি কোন দুঃখ কষ্টের ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থাকে
তবে কেন চুপটি করে বসে থাকতো।
কেন হাঁটতে হাঁটতে বির বির করে কথা বলতো?
কেন দেখতে পেতাম হাঁসির আড়ালে কষ্টের ছাপ
বাবা কাঁদতে জানেনা বলেই কষ্ট রয়ে যায় হৃদয়ে।
আর-এ কষ্ট গুলোই কলিজাকে
করেছে ক্ষত দাগের শত শত চিহ্ন।
এটাই হলো পৃথিবীর সকল বাবাদের সুখের ক্ষত,
আর এই ক্ষতে জর্জরিত হয়ে যায় বাবার হৃদয়।
কলিজাতে শত ক্ষত নিয়ে বেঁচে আছে
হাজার বছর ধরে পৃথিবীর সকল বাবা ।।