লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় যৌতুকের ৫০ হাজার টাকার জন্য স্ত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ; হাসপাতালে ভর্তি স্ত্রী
মাসুদ রানা নিরব,
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার উত্তর বিছনদই গ্রামে যৌতুকের মাত্র ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে দুই সন্তানের জননী আয়শা সিদ্দিকা (২৫) নামে এক গৃহবধূকে বেধড়ক ভাবে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠে স্বামী_শ্বশুর_শাশুড়ির বিরুদ্ধে।ঐ গৃহবধূ উপজেলার বড়খাতা এলাকার বাসিন্দা মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে। তার দুইটি সন্তান রয়েছে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে।ঘটনাটি ঘটেছে,গতকাল ১২ জুন বৃহস্পতিবার ঐ উপজেলার উত্তর বিছনদই গ্রামে। এমন ঘটনা পর সন্ধ্যায় আহত ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে তার স্বামীকে প্রধান আসামি করে আরো ৫ জনের নামে জেলার হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযুক্ত স্বামী নবিউল ইসলাম ঐ উপজেলার উত্তর বিছনদই গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে। বর্তমানে গুরতর আহত অবস্থায় ঐ গৃহবধূ হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীনে রয়েছেন।জানা যায়,গত অনুমান ১০ বছর পূর্বে উপরোক্ত আসামী মোঃ নবীউলের সাথে সিদ্দিকার বিবাহ হয়। বিবাহের সময় উপরোক্ত আসামীগণ বিবাহের ব্যাপারে সিদ্দিকার বাবার নিকট ৩,০০,০০০/-(তিন লক্ষ) টাকা যৌতুক দাবী করলে সিদ্দিকার বাবা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন ভাবে ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা ব্যবস্থা করেন এবং উপঢৌকন বাবদ ব্যবসা করার জন্য আসামী মোঃ নবীউল কে দেন। তখন হতে গৃহবধূ সিদ্দিকা তাহার সহিত ঘর সংসার করা কালে দুইটি সন্তানের জননী হন। বিয়ের কয়েকদিন পর আসামী মোঃ নবীউল এর টাকার প্রয়োজন হইলে সিদ্দিকার নিকট বাকী ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা যৌতুক দাবী করে উক্ত টাকা তার বাবার নিকট হতে আসামি নবীউল নিয়ে আসতে বলে। এরপর তার বাবাকে জানালে উক্ত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে উপরোক্ত আসামীগণ তার রাগান্বিত হয়ে প্রায় সময় অসময় তাকে মারধর সহ নানা রকম অন্যায় অত্যাচার করেন। গত ১২ জুন বৃহস্পতিবার বেলা অনুমান ০২.০০ টার সময় পুনরায় আসামী মোঃ নবীউল সিদ্দিকার নিকট ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকা দাবী করে নিয়ে আসতে বলে এবং তিনি রাজি না হলে আসামীগণ রাগান্বিত হয়ে অন্যান্য আসামীদের উসকানি, কুপ্ররোচনা ও সহায়তায় আসামী মোঃ নবীউল বাঁশের লাঠি দিয়া ঐ গৃহবধূকে বসত বাড়ীর ভিতরে আঙ্গিনায় এলোপাথারী ভাবে মারপিট করেন।তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। তারপর তাকে আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন নবী জানান,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।