লালমনিরহাটে ক্রয় ও প্রসেসিং কেন্দ্র না থাকায় ভুট্টার বাম্পার ফলন হলেও হতাশ কৃষক
মাসুদ রানা নিরব
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
লালমনিরহাট জেলা ভুট্টা চাষের জন্য বেশ উপযোগী হিসেবে ধরা হয়।প্রতিবছর এই জেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলনে অধিক ভুট্টা চাষ হয়। কিন্তু অধিক ভুট্টা ফলনে বেশ হতাশা হয়ে পড়েছেন ভুট্টা চাষীরা। জেলায় নেই কোন প্রসেসিং কেন্দ্র তাই ন্যায্য দামে বিক্রি করতে না পারায় বেশ ক্ষতির মুখে প্রান্তিক চাষী। তিস্তা ধরলা নদী বেষ্টিত লালমনিরহাট। জেলার ৫ উপজেলার ১০ বছর ধরে চর অঞ্চলে রবি মৌসুমে আবাদ হচ্ছে ভুট্টা। চাহিদা থাকায় দিন দিন বেড়েই চলছে ভুট্টা চাষীদের। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে দৈর্ঘ্য দিন যাবৎ গড়ে উঠে নাই ক্রয় কেন্দ্র। এজন্য চলে যাচ্ছে কয়েক হাট ঘুরে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ন্যায্য মূল্যে বঞ্চিত হচ্ছে চাষীরা।
ভুট্টা চাষিদের সূত্রে জানা যায়, এক সময় এখানে চাষ হতো তামাক। তামাকের ব্যতিক্রম ভুট্টা চাষ শুরু করে বেশ ফলন তবুও মিলছে না ন্যায্য দাম। কিন্তু বর্তমানে ভুট্টার যে দাম এতে ভুট্টা চাষের খরচও উঠা সম্ভব না। কারণ তেল,বীজ,জুমি চাষ, স্যার, কীটনাশক ও শ্রমিক মূল্য অধিক পরিমাণে খরচ করে ভুট্টা চাষ করেছেন। এছাড়া এখানে কোন কারখানা ও গোডাউন ও তেমন নাই ।তাই স্বল্প মুল্যে ভুট্টা বিক্রি করতে হয়।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, উত্তরের এই জেলায় আবহাওয়ার জন্য ভুট্টা চাষে উপযোগী। তাই ক্রয় কেন্দ্রের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানান প্রসাশন।
জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হালদার বলেছেন, তৎকালীন ভাবে কোন প্রসেসিং জুন না থাকায় বেসরকারি ভাবে কিছু গড়ে উঠেছে। তাই বিষয়টি কয়েকবার জানিয়েছেন সরকারের কাছে, ভবিষ্যতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।