পটুয়াখালী বাউফলে ঐতিহ্যবাহী ধানদী কামিল মাদরাসা নিয়ে কিছু কথা,
মোঃ ইমরান হোসাইন।
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি,,
পটুয়াখালী জেলা বাউফল উপজেলা একটি শিক্ষিত জনপদ। এই জনপদের শিক্ষা প্রসারে অন্যতম বাতিঘর ধানদী কামিল মাদরাসা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পটুয়াখালী জেলায় যেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, তাদের মধ্যে এটি অন্যতম। বাউফল উপজেলায় এটিই প্রথম কামিল মাদরাসা। ১৯৭৪ সাল থেকে ২০২৫ সাল প্রজন্ত মাদরাসাটি ধারাবাহিক সাফল্য বজায় রেখেছে। বিগত প্রতিটি বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল তার অননা উদাহরণ। এ ছাড়াও কো-কারিকুলাম এক্টিভিটিজ-এ এই মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অনেক এগিয়ে। আমরা মনে করি ধানদী কামিল মাদরাসা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছাত্র ছাত্রি মেধা ও মননের বিকাশ ঘটিয়েছেন এই মাদ্রাসা। এই মাদরাসার ছাত্র ছাত্রীদের রয়েছে নানা অর্জন। এখানকার শিক্ষার্থীদের অনেকেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, সাংবাদিকতা, শিক্ষকতাসহ বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে। এটি এই মাদরাসার ছোট্ট একটি বৈশিষ্ট্য।ধানদী কামিল মাদরাসা দক্ষিণ বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতি নিয়ত অত্র প্রতিষ্ঠান জ্ঞানে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। কামিল পর্যায়ে উন্নীত হওয়ায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। অত্র প্রতিষ্ঠানে দাখিল, আলিম, ফাজিল, ও কামিল পরীক্ষা কেন্দ্র আল্লাহ রহমতে হয়েছে।আমরা বিশ্বাস করি, অধ্যক্ষ মাওলানা শহীদুল ইসলাম হুজুর এবং মাওলানা মোঃ হাবিবুল্লাহ হুজুর ও মাওলানা জহিরুল ইসলাম হুজুর মাদরাসাটির উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে, তাদের জন্য দীর্ঘয়ু কামনা করি।
এই মাদ্রাসায় আছে হিফজ বিভাগ, নুরানি বিভাগ,,,,এবং শিশু শ্রেণি থেকে কামিল স্নাতক প্রযন্ত।এই মাদ্রাসায় শিক্ষক রয়েছেন, ২৭থেকে ৩০ জন।।এবং ছাত্র ছাত্রি রয়েছে, ১৪২৮ থেকে ১৫০০ জন।শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই ধানদী কামিল মাদরাসা লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষক দের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।
ধানদী কামিল মাদরাসা শিক্ষকদের দুনিয়া ও আখিরাতে সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন। তাদের সুস্থতা ও দীর্ঘ জীবন দান করুন। আর যারা আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদের ছেড়ে গেছেন, তাদের ক্ষমা করে জান্নাতের উচ্চ স্থানে আসীন করুন।