1. dailybanglard@gmail.com : দৈনিক বাংলার দিগন্ত : দৈনিক বাংলার দিগন্ত
  2. info@www.dailybanglardigant.online : দৈনিক বাংলার দিগন্ত :
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:২০ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "দৈনিক বাংলার দিগন্ত" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
শিরোনাম :
প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে নিহত অত্যন্ত ৩,দগ্ধ ৩০ কুষ্টিয়ায় সেতু সংস্কারের ৬৫ লক্ষ টাকার কাজ সিডিউল মোতাবেক ও সরকারি নীতিমালা মেনে শেষ করেছেন সড়ক জনপদ কুষ্টিয়া জেলা সদর উপজেলা বিএনপির তরুণ নেতা হাজী মোঃ জয়নাল আবেদিন প্রধানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেতে চাই উপজেলা বাসি ধোবাউড়ায় থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদসহ আটক ০১ ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত আত্মসমর্পণকারী কেএনএফ সদস্যদের পরিবারের পাশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লালমনিরহাটে বাড়ছে পানি, পাঁচ উপজেলায় হতে পারে বন্যা সীতাকুণ্ডে ‘রাইজঅন’ শো রুম এর শুভ উদ্বোধন সম্পন্ন বারহাট্টা চিরুনি অভিযানে পাঁচজন আটক আদিতমারীতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ; আহত ২ !

নিজের পিস্তল দিয়ে,নিজের আত্মহত্যা করলেন পলাশ সাহা

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

নিজের পিস্তল দিয়ে,নিজের আত্মহত্যা করলেন পলাশ সাহা

মোহাম্মদ আব্দুল মালেক
বিশেষ প্রতিনিধি

আমরা সবসময় সফলতা বলতে বুঝি,অর্থ, পদ,চাকরি কিংবা বাড়ি গাড়ি। কিন্তু সফলতার সবচেয়ে জরুরি অংশ হলো মনস্তাত্ত্বিক শান্তি। আপনি যতই বড়ই চাকরি করেন না কেন।যদি ঘরে শান্তি না থাকে,যদি পরিবারের সম্মান না থাকে, তাহলে সে সফলতা বিষাক্ত হয়ে উঠবে। একজন পুরুষ শুধু উপার্জনকারী না,সে একজন সন্তান, একজন স্বামী, সবচাইতে বড় কথা সে একজন মানুষ।আমরা পুরুষদের কষ্ট কেউ বুঝতে শিখিনি। আমরা শুধু জানি তাঁরা কাঁধে না।কিন্তু আজ সেই কাঁদতে না পারা এক ছেলে,চিরদিনের জন্য ঘুমিয়ে পড়লো।

পলাশ ২ বছর আগে বিয়ে করেন ফরিদপুরের চৌধুরীপাড়ায় এক শিক্ষিত তরুণী সুস্মিতা সাহাকে। বিয়ের ৬-৭ মাস পর থেকেই শুরু হয় অশান্তি। স্ত্রী প্রায়ই পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে ঝামেলা করতেন। মায়ের সাথে থাকতে চাওয়াটা যেন অপরাধে পরিণত হয়। বারবার চাপে ফেলা হয় পলাশকে—মাকে বাড়ি পাঠিয়ে দাও।

কিন্তু পলাশ ছিলেন মা-ভক্ত। নিজে চট্টগ্রামে পোস্টে থাকায় মাকে নিজের সাথেই রেখেছিলেন। এটাই ছিল ওনার অপরাধ। তবে শেষ পর্যন্ত পলাশ মা এবং স্ত্রী
কাউকে ছাড়তে চাননি, তাই তিনি নিজেই চলে গেলেন।

পলাশ সাহা,যার জীবনে ছিলো না অর্থের অভাব। ছিলো না ক্যারিয়ারের ঘাটতি। ছিলো না সমাজের ঝুঁকির কোনো ব্যর্থতা,তবুও শেষ পর্যন্ত হার মেনেছে।তিনি এক নির্মম মানসিক যুদ্ধে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন পলাশ। ৩৬ তম বিসিএস এর শিক্ষা ক্যাডার এর সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে ছিলেন। আর ৩৭ তম বিসিএস এ গৌরবজনক পুলিশ ক্যাডার এর স্থান পেয়েছেন তিনি। সাবরেজিস্টার এডি সহ আরও একাধিক প্রতিযোগিতায় সরকারি চাকরি তে নিজের মেধার প্রমাণ দিয়েছেন। এ এস পি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ছিলেন চট্টগ্রামে র RAB ৭ এ। যত অর্জনই থাকুক না কেনো,পলাশের জীবন যুদ্ধ থেমে গেলো। পারিবারিক কলহের কাছে। বুধবার ৭ এ মে দুপুর সাড়ে বারটার দিকে,চট্টগ্রাম র নিজ দপ্তরের একটি কক্ষে। নিজের ব্যবহৃত, নিজেই নিজের পিস্তল দিয়ে বুক কান ঝাঁঝরা করে দিলেন।বিয়ে র পর থেকে পলাশের জীবনে শুরু হয়, একধরনের যুদ্ধ। স্ত্রী সুস্মিতা সাহা পলাশের মাকে ঘরে থাকতে দিতে চাইতেন না।পলাশ চট্টগ্রামে কর্মস্থলে থাকতেন তার মা ও বউ। কিন্তু স্ত্রী চাইতেন পলাশের মা গ্রামের বাড়ি চলে যাক।শুরু হয় পারিবারিক কলহ প্রতিদিন। পলাশ কিছুতেই মাকে গ্রামের বাড়ি তে দিতে চান না।তিনি মা ও স্ত্রী দুজনকেই বেশ ভালোবাসতেন।

জানা গিয়েছে : আত্মহত্যার দিন সকালে পলাশের স্ত্রী তার ও তার মায়ের গায়ে হাত তোলে।এটি ছিলো সহ্যের একেবারেই সীমা। তিনি আর নিতে পারেনি।একদিকে দায়িত্ববান পুলিশ অফিসার। অপরদিকে ভেঙে পরা মানুষ। পলাশ নিজের পিস্তল দিয়ে নিজেরই বুক ঝাঁঝরা করে আত্মহত্যা করে।

তিনি চিরকুটে লিখেন: আমার মৃত্যুর জন্য মা ও বউ কেউ দায়ী নয়,আমি নিজেই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না।বউ যেনো সব স্বর্গ নিয়ে যায় ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের উপর। তারা যেনো তাকে ভালো করে রাখে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট