1. dailybanglard@gmail.com : দৈনিক বাংলার দিগন্ত : দৈনিক বাংলার দিগন্ত
  2. info@www.dailybanglardigant.online : দৈনিক বাংলার দিগন্ত :
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:০৮ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "দৈনিক বাংলার দিগন্ত" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
শিরোনাম :
প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে নিহত অত্যন্ত ৩,দগ্ধ ৩০ কুষ্টিয়ায় সেতু সংস্কারের ৬৫ লক্ষ টাকার কাজ সিডিউল মোতাবেক ও সরকারি নীতিমালা মেনে শেষ করেছেন সড়ক জনপদ কুষ্টিয়া জেলা সদর উপজেলা বিএনপির তরুণ নেতা হাজী মোঃ জয়নাল আবেদিন প্রধানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেতে চাই উপজেলা বাসি ধোবাউড়ায় থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভারতীয় মদসহ আটক ০১ ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বাস ও পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত আত্মসমর্পণকারী কেএনএফ সদস্যদের পরিবারের পাশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লালমনিরহাটে বাড়ছে পানি, পাঁচ উপজেলায় হতে পারে বন্যা সীতাকুণ্ডে ‘রাইজঅন’ শো রুম এর শুভ উদ্বোধন সম্পন্ন বারহাট্টা চিরুনি অভিযানে পাঁচজন আটক আদিতমারীতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ; আহত ২ !

ইসলামী ঐক্যের সম্ভাবনা: প্রাথমিক আলোচনায় নতুন আশার সঞ্চার-গোলাম সরোয়ার সিরাজী তরুণ আলেম

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

ইসলামী ঐক্যের সম্ভাবনা: প্রাথমিক আলোচনায় নতুন আশার সঞ্চার-গোলাম সরোয়ার সিরাজী তরুণ আলেম

মোঃ জাহিদ হাসান চৌধুরী
ফেনী জেলা প্রতিনিধি

এখনো কোনো জোট হয়নি, সমঝোতাও হয়নি—তবে চলছে আলোচনা, একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে। তবু মানুষের মাঝে জন্ম নিচ্ছে আশাবাদের ডানা। তারা চায়, দেশের সব ইসলামী দল এক মঞ্চে আসুক। এ চাওয়া আজকের নয়, বহু দিনের। এ দাবি উঠে এসেছে হৃদয়ের গভীর থেকে।

বাংলাদেশে ইসলাম চায়, এমন মানুষদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও অপেক্ষা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা চায় এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইসলামী নেতারা বলুন—“আমরা ইসলাম চাই; ইসলাম প্রতিষ্ঠা ছাড়া এ হাত আলাদা হবে না।”

মাঠপর্যায়ে নেতিবাচকতার বদলে ইতিবাচক মন্তব্যই এখন দৃশ্যমান। কর্মীরা এখন মেনে নেওয়ার মানসিকতায় আছে। শীর্ষ মুরুব্বিরা একসাথে মঞ্চে বসছেন, প্রায় একই সুরে কথা বলছেন। এটা নিঃসন্দেহে একটি ঐক্য প্রক্রিয়ার ইতিবাচক ইঙ্গিত।

ইতোমধ্যে পাঁচটি ইসলামী দল নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা আসন ভাগাভাগির ভিত্তিতে একসাথে নির্বাচনে অংশ নেবে। যদিও এখনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি, তবুও একটি ১০ সদস্যবিশিষ্ট লিয়াজু কমিটি গঠন করা হয়েছে, যেখানে প্রতি দল থেকে ২ জন করে প্রতিনিধি আছেন। আশা করা হচ্ছে, কমিটিতে আন্তরিক নেতারাই আছেন। কারণ, যদি ‘পেয়াজু মার্কা’ লোকজন ঢুকে পড়ে, তাহলে ঐক্য বা সমঝোতা সম্ভব হবে না, বরং জনগণের হতাশা বাড়বে।

এই পাঁচটি দল হলো:ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা)

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (রিকশা)

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (খেজুর গাছ)
খেলাফত মজলিস (দেয়াল ঘড়ি)
নেজামে ইসলাম পার্টি (কিতাব) (যদিও এটি নিবন্ধিত নয়)

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক সারা দেশে জনপ্রিয় একজন দরাজকণ্ঠী বক্তা। বিশেষ করে কওমী অঙ্গনে তার গ্রহণযোগ্যতা অনেক। অন্যদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একটি শক্ত কাঠামোভিত্তিক দল, যার কার্যক্রম তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত। দলের দুই শীর্ষ নেতা—আমির পীর সাহেব চরমোনাই এবং নায়েবে আমির শায়খে চরমোনাই—সারা বছর মাঠে থাকেন। সকালে মতবিনিময়, বিকেলে জনসভা এবং রাতে মাহফিল—সারা বছরব্যাপী এমন তৎপরতা তাদের আলাদা পরিচয় দেয়।

গত ২৪ বছরে ইসলামী আন্দোলনের ভোট উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। দলটি এখন এমন শক্তি অর্জন করেছে যে, ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে এবং অন্তত ১৫০ আসনে জামানত ধরে রাখতে সক্ষম। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দলটির সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সমর্থন রয়েছে।

বাকি তিন দলেরও রয়েছে মাঠ পর্যায়ে প্রভাব। জমিয়ত ও নেজামে ইসলাম পার্টির রয়েছে বড় বড় শীর্ষ আলেমদের সমর্থন। জমিয়ত বিশেষ করে আলেম সমাজে অত্যন্ত সমাদৃত। উল্লেখযোগ্য যে, ৫২’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে নেজামে ইসলাম পার্টি জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ মিলিয়ে ৩৬টি আসন লাভ করে এবং জাতীয় সরকারে ৪টি মন্ত্রণালয়সহ প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার পদ লাভ করে। খেলাফত মজলিসেরও রয়েছে মজবুত সাংগঠনিক কাঠামো এবং নেতৃত্বে রয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ড. আহমদ আবদুল কাদের। দলটির সাবেক আমির ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী।

আজ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং ইসলামী ঐক্যজোটের মধ্যে রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইসলামী ঐক্যজোট প্রতিষ্ঠা করেন মুজাহিদে মিল্লাত মুফতী আমিনী (রহ.)। বর্তমান মহাসচিব মুফতী সাখাওয়াত হোসেন রাজি একজন সাহসী আলেম, যিনি কারানির্যাতনের শিকার এবং মুফতী আমিনির জামাতা। তিনি একজন ভালো বক্তা এবং টকশোতে জনপ্রিয় আলোচক হিসেবেও পরিচিত। ঐক্য প্রক্রিয়ায় ইসলামী ঐক্যজোটকেও অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।

এখনো পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ইসলামী আন্দোলনের কোনো আনুষ্ঠানিক সংলাপ হয়নি। তবে আমিরে জামায়াত ও পীর সাহেব চরমোনাইয়ের মধ্যে একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে, যার প্রভাব সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের সহযোগী সংগঠনের সেমিনারে জামায়াত নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্যও দিয়েছেন। একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক হলে মাঠ আরও উজ্জীবিত হবে।

ভুল মানুষ মাত্রই করে। হয়তো চাপে পড়ে বা ভুল বিচারে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে অতীত ভুল ক্ষমা করে, বৃহত্তর স্বার্থে জামায়াতে ইসলামীকেও ঐক্যের পথে আহ্বান জানানো যেতে পারে।

এ প্রসঙ্গে খেলাফত আন্দোলনের কথাও উঠে আসে। একসময় দেশের রাজনীতি কাঁপানো এই দলটি এখন অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। কিন্তু দলের নাম ও ইতিহাস এখনো আছে। সব পক্ষকে যুক্ত করতে চাইলে, খেলাফত আন্দোলনকেও একটি সুযোগ দেওয়া উচিৎ।

সময় কম। এখন আর দেরি করার সুযোগ নেই। এই মুহূর্তে মাঠে সাধনার সময়। ভুল করা যাবে না। কারণ “একটু খানি ভুলের তরে অনেক বিপদ ঘটে।”

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট