সীতাকুণ্ডে সড়ক দূর্ঘটনায় ১৭ দিনের ব্যবধানে ১৯ জন হতাহত
মোহাম্মদ আব্দুল মালেক
বিশেষ প্রতিনিধি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে সরকার সিএনজি অটোরিক্সা বন্ধ করলেও দুর্ঘটনা থেমে নেই। মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে অংশে গত ১৭ দিনের ব্যবধানে ১৯ জন হতাহত হয়েছে।
আর এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক লোক। দূর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ উদ্বেগ ও নিরাপত্তায় ভুগছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে কর্মসূচি পালন করলেও সড়কগুলো আরো বেশি অনিরাপদ হয়ে উঠেছে।
হাইওয়ে পুলিশ, থানা পুলিশ ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রের্কডে দেখা গেছে,,ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ড অংশে হটাৎ করেই সড়ক দূর্ঘটনা আশংকাজনকভাবে বেড়ে গেছ।
প্রায় প্রতিদিনই উপজেলার কোন না কোন স্হানে গাড়ি চাপা, দুই গাড়ির মূখোমূখি সংঘর্ষ, গাড়ি উল্টে অথবা অন্য কোন ভাবে সংঘটিত সড়ক দূর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারাচ্ছে বহু মানুষ। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো প্রিয়জন হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়লেও কোন প্রতিকার মিলছেনা। বরণ প্রতিদিনই নতুন নতুন দূর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই দূর্ঘটনা ঘটছে বেশিরভাগ কভার্ডভ্যান ও আটারো চাকাওয়ালা লরীগুলোতে। এই রোডে এখন সিএনজি অটোরিক্সা না থাকায় বড় গাড়িগুলো বেপরোয়াভাবেই চলাচল করছে।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত মার্চ থেকে মে পর্যন্ত সীতাকুন্ড উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ১২ টির মতো সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেছে। গত ১৭ দিনে সীতাকুন্ডের বিভিন্ন স্হানে সড়ক দূর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৯ জন হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। তারমধ্যে কয়েকটি ঘটনায় প্রাণ হানির না ঘটলেও আহতের পরিমাণ বেশী। গত ১৫ দিনে সীতাকুন্ডের বিভিন্ন স্হানে সড়ক দূর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়। বেশিরভাগ দূর্ঘটনার জন্য গাড়িগুলো আটক করা হয়েছে। কিন্তু দূর্ঘটনা কমেনি বরং তা বেড়েই চলেছে। এ বিষয় হাইওয়ে থানার ওসি বলেন, এই দূর্ঘটনার জন্য বেশিরভাগ দায়ী ড্রাইভারের অদক্ষতা, উল্টো পথে গাড়ি চালানো, অবৈধভাবে পার্কিং এবং দ্রুতগতিতে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো।