সবাই একটু পরি, নতুন কিছু দিতে চাই পাশে চাই সবাইকে
নিজস্ব প্রতিবেদক
দৈনিক বাংলার দিগন্ত
সাংবাদিক পেটানোর পেছনে আমরা সবাই দায়ী! সাংবাদিকরা মার খায়, মামলা হয়, হামলা হয়—কিন্তু কেউ দায় নিতে চায় না! অথচ এই নিপীড়নের সবচেয়ে বড় কারিগর আমরা নিজেরাই!
একজন সাংবাদিক সাহস করে দুর্নীতি উন্মোচন করলেই, আরেকজন তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়! সাংবাদিকের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় সাংবাদিকই! অপরাধীদের পাশে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ বলে—”ভয় নেই, আমরা সামলে নেব!” এই সুবিধাবাদী ও বিশ্বাসঘাতকদের কারণেই সাংবাদিকতা আজ সবচেয়ে বিপদজনক পেশাগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
সাংবাদিক মানে কি আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত বা অন্য কোনো দলের তকমা লাগানো মানুষ? আজ সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা বলে যারা গলা ফাটায়, তাদের একাংশই অন্য সাংবাদিককে দমিয়ে রাখতে মরিয়া! দলীয় পরিচয়ের খাঁচায় সাংবাদিকদের এমনভাবে ঢোকানো হয়েছে যে, এখন সত্য বললেই বিপদ!
একসময় এক পক্ষ পুলিশের ছত্রছায়ায় প্রতিপক্ষ সাংবাদিককে দমন করত, মামলা দিত, হামলা করত। এখন সেই একই কাজ আরেক পক্ষ করছে! একদল সুবিধা নিয়েছে, এখন আরেকদল নিচ্ছে। কিন্তু সাংবাদিক মার খাওয়ার সংস্কৃতি থেকে বের হতে পারেনি কেউ!
এই লড়াইয়ে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে রাজনীতিবিদরা এবং পুলিশ। তারা জানে, সত্যিকারের অনুসন্ধানী সাংবাদিক খুব কম, আর থাকলেও তাদের দমানোর জন্য সাংবাদিকদের ভেতরেই বিভেদ আছে! ফলে তারা নিশ্চিন্তে থাকতে পারে—কারণ সাংবাদিকরাই যখন সাংবাদিকের শত্রু হয়ে যায়, তখন শাসকগোষ্ঠীর কোনো চিন্তা থাকে না!
আমরা সাংবাদিক, কিন্তু নিজেদের মধ্যে ঐক্যহীন! আমরা অন্য সাংবাদিকের বিপদ দেখেও মুখ ফিরিয়ে নিই, সুযোগ বুঝে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার ফন্দি আঁটি। তাই সাংবাদিক মারা যায়, পুলিশ দিয়ে মামলা হয়, আর আমরা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিই, মানববন্ধন করি, কাগজে লিখি। কিন্তু বাস্তবে কিছু বদলায় না!